গণনা বা পরিমাপের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যই হলো উপাত্ত। যেমন– ৭ম শ্রেণির ৪ জন ছাত্রের বয়স হলো ১২ বছর, ১৩ বছর, ১৪ বছর, ১৩ বছর ৬ মাস। এ তথ্যটি উপাত্ত, কারণ এদের সংখ্যায় গণনা করা যায়। আবার, সেলিম সবল খেলোয়াড় কিন্তু জয়নাল দুর্বল খেলোয়াড়। এক্ষেত্রে এ তথ্যটি সংখ্যায় গণনা করা যায় না। এজন্য এটি উপাত্ত নয়। নামবাচক ও গুণবাচক তথ্য যেমন ধর্ম, বর্ণ, ভালো-মন্দ ইত্যাদি পরিসংখ্যানের উপাত্ত নয়।
উপাত্তের প্রকারভেদ
উপাত্ত দুই প্রকার। যথা–
- প্রাথমিক উপাত্ত বা প্রত্যক্ষ উপাত্ত।
- মাধ্যমিক উপাত্ত বা পরোক্ষ উপাত্ত।
১. প্রাথমিক উপাত্ত : উৎস থেকে সরাসরি যে উপাত্ত সংগৃহীত হয় তাকেই প্রাথমিক উপাত্ত বলা হয়। যেমন, বার্ষিক পরীক্ষায় ৭ম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত ১০ জন শিক্ষার্থীর বাংলায় প্রাপ্ত নম্বর হলো– ৭৫, ৮০, ৬৫, ৭৮, ৭০, ৮২, ৭৭, ৭৫, ৭৬, ৬৮। সরাসরি সংগৃহীত বিধায় এ উপাত্তের নির্ভরযোগ্যতা অনেক বেশি।
২. মাধ্যমিক উপাত্ত : পরোক্ষ উৎস থেকে সংগৃহীত উপাত্ত হচ্ছে মাধ্যমিক উপাত্ত। যেমন– ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের জুলাই মাসের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যথাক্রমে ২৯°C, ৩২°C, ৩১°C, ও ৩০°C। এ তথ্য সরাসরি সংগ্রহ করা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে, কোনো প্রতিষ্ঠান হতে তা সংগ্রহ করতে হবে। এ উপাত্ত সরাসরি সংগ্রহ করা যায় না বলে এর নির্ভরযোগ্যতা অনেক কম।