দ্বিতীয় অধ্যায় : জীবের বৃদ্ধি ও বংশগতি, বিজ্ঞান (অষ্টম শ্রেণি)

Shimul Hossain
0



প্রশ্ন-১৫। বংশগতির জনক কে?

উত্তর : বংশগতির জনক গ্রেগর জোহান মেন্ডেল।


প্রশ্ন-১৬। মিয়োসিসকে হ্রাসমূলক বিভাজন বলা হয় কেন?

উত্তর : মিয়োসিস কোষ বিভাজনে মাতৃকোষের  নিউক্লিয়াসটি পরপর দুইবার বিভাজিত হলেও ক্রোমোজোম বিভাজিত হয় মাত্র একবার। ফলে অপত্য কোষে ক্রোমোজোমের সংখ্যা অর্ধেক হয়ে যায়। তাই এ ধরনের বিভাজনকে হ্রাসমূলক বিভাজন বলে।

 

প্রশ্ন-১৭। ইন্টারফেজ অবস্থা বলতে কী বোঝায়?

উত্তর : কোষ বিভাজনের ক্যারিওকাইনেসিস ও সাইটোকাইনেসিস শুরু হওয়ার আগে কোষটির নিউক্লিয়াসকে কিছু প্রস্তুতিমূলক কাজ করতে হয়। কোষটির এ অবস্থাকে ইন্টারফেজ বলে।

 

প্রশ্ন-১৮। ক্রোমোজোমকে বংশগতির ভৌত ভিত্তি বলা হয় কেন?

উত্তর : জীবদেহের বৈশিষ্ট্য নিয়ন্ত্রণকারী DNA-এর অংশকে জিন নামে অভিহিত করা হয়। ক্রোমোজোম জিনকে এক বংশ থেকে পরবর্তী বংশে বহন করার জন্য বাহক হিসেবে কাজ করে বংশগতির ধারা অক্ষুণ্ন রাখে। মিয়োসিস কোষ বিভাজনের মাধ্যমে বংশগতির ধারা অব্যাহত থাকে। এ কারণে ক্রোমোজোমকে বংশগতির ভৌত ভিত্তি বলা হয়।

 

প্রশ্ন-১৯। বহুকোষী জীবের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি পায় কেন?

উত্তর : বহুকোষী জীবদের দেহকোষের সংখ্যা বৃদ্ধি হয়ে জীবদেহের সামগ্রিক বৃদ্ধি ঘটে। মাইটোসিস কোষ বিভাজনের দ্বারা বহুকোষী জীবের দেহকোষের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। আর দেহকোষের সংখ্যা বৃদ্ধি পায় বলেই জীবের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি পায়।


প্রশ্ন-২০। মিয়োসিস কোথায় ঘটে? ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : মিয়োসিস কোষ বিভাজন প্রধানত জীবের জনন কোষ বা গ্যামেট সৃষ্টির সময় জনন মাতৃকোষে ঘটে। সপুষ্পক উদ্ভিদের পরাগধানী ও ডিম্বকের মধ্যে এবং উন্নত প্রাণীদেহের শুক্রাশয় ও ডিম্বাশয়ের মধ্যে মিয়োসিস ঘটে।

Post a Comment

0Comments
Post a Comment (0)