প্রশ্ন-১। টেফলনের মনোমারের সংকেত কি?
উত্তরঃ টেফলনের মনোমার হচ্ছে : CF2 = CF2 (টেট্রাফ্লোরোইথিন)।
প্রশ্ন-২। TDS কি?
উত্তরঃ TDS হলো Total dissolved Solid অর্থাৎ কোনো নমুনা পানিতে দ্রবীভূত সমস্ত কঠিন পদার্থকে বুঝায়।
প্রশ্ন-৩। অ্যামাইলোজ কি?
উত্তরঃ অ্যামাইলোজ হলো পানিতে দ্রবণীয় স্টার্চ যা a(আলফা)-D গ্লুকোজের সরল শিকল পলিমার।
প্রশ্ন-৫। আলোক সমাণু কাকে বলে?
উত্তরঃ একই ভৌত ও রাসায়নিক ধর্মসম্পন্ন যে সকল জৈব যৌগের আণবিক সংকেত ও গাঠনিক সংকেত অভিন্ন, কিন্তু আলোক সক্রিয়তা ধর্মে ভিন্ন অর্থাৎ তল সমবর্তিত আলোর প্রতি ভিন্ন আচরণ প্রদর্শন করে ঐ সব যৌগকে আলোক সমাণু বলে।
প্রশ্ন-৬। ডায়াজোকরণ কাকে বলে?
উত্তরঃ যে প্রক্রিয়ায় কোনো অ্যারোমেটিক প্রাইমারি অ্যামিন নিম্ন তাপমাত্রায় খনিজ এসিডের উপস্থিতিতে নাইট্রাস এসিডের সাথে বিক্রিয়া করে ডায়াজোনিয়াম লবণে রূপান্তরিত হয়, তাকে ডায়াজোকরণ বলে।
প্রশ্ন-৭। কাইরাল কার্বন কাকে বলে?
উত্তরঃ যখন কোন কার্বন পরমাণুর সাথে একক বন্ধন দ্বারা চারটি ভিন্ন গ্রুপ যুক্ত থাকলে তখন সেই কার্বনকে কাইরাল কার্বন বলে।
প্রশ্ন-৮। মেসো যৌগ কাকে বলে?
উত্তরঃ একাধিক অপ্রতিসম কার্বন পরমাণু থাকা সত্ত্বেও যদি কোনো যৌগ আলোক নিষ্ক্রিয় হয় তবে সেই যৌগকে মেসো যৌগ বলে। যেমন– মেসো টারটারিক এসিড একটি মেসো যৌগ।
প্রশ্ন-১০। হাকেল সংখ্যা কাকে বলে?
উত্তরঃ হাকেল সূত্র ব্যবহার করে n এর মান 0, 1, 2, 3 ইত্যাদি পূর্ণ সংখ্যা হলে (4n+2) এর মান হয় যথাক্রমে 2, 6, 10, 14 ইত্যাদি। এ সংখ্যাগুলোকে হ্যাকেল সংখ্যা বলে।
প্রশ্ন-১১। অ্যান্টিপাইরেটিক কাকে বলে?
উত্তরঃ দেহের তাপমাত্রা বা জ্বর কমানোর জন্য যে ঔষধ ব্যবহার করা হয় তাদের অ্যান্টিপাইরেটিক বলে। যেমন– প্যারাসিটামল, ফেনাসিটিন, অ্যানালজিন, অ্যাসপিরিন।
প্রশ্ন-১২। ডায়াজোটাইজেশন বা ডায়াজো বিক্রিয়া কাকে বলে?
উত্তরঃ যে প্রক্রিয়ায় প্রাইমারি অ্যারোমেটিক অ্যামিনকে 0°–5°C নিম্ন তাপমাত্রায় HCl/H2SO4 দ্রবীভূত করে, উক্ত দ্রবণে NaNO2 দ্রবণ যোগ করলে ডায়াজোনিয়াম লবণ উৎপন্ন হয়, তাকে ডায়াজোটাইজেশন বা ডায়াজো বিক্রিয়া বলে।
প্রশ্ন-১৩। অ্যারোমেটিকরণ বা রিফরমিং কাকে বলে?
উত্তরঃ পেট্রোলিয়াম থেকে প্রাপ্ত মুক্ত শিকল অ্যালকেনকে উচ্চ চাপে ও তাপে উপযুক্ত অনুঘটকের উপস্থিতিতে অ্যারোমেটিক হাইড্রোকার্বনে রূপান্তরিত করার পদ্ধতিকে অ্যারোমেটিকরণ বা রিফরমিং বলে।
প্রশ্ন-১৫। অ্যাজো যুগলায়ন বা অ্যাজো কাপলিং কাকে বলে?
উত্তরঃ ডায়াজোনিয়াম আয়ন ইলেকট্রোফাইল হিসেবে উপযুক্ত নিউক্লিওফাইলের সক্রিয় স্থানে আক্রমণ করে অ্যাজো যৌগ গঠন করে। এ প্রক্রিয়াকে অ্যাজো যুগলায়ন বা অ্যাজো কাপলিং বলে।
প্রশ্ন-১৬। ডাইস্যাকারাইড কাকে বলে?
উত্তরঃ যে সকল কার্বহাইড্রেট অণুকে আর্দ্রবিশ্লেষিত করলে দুটি হেক্সোজ অণু পাওয়া যায় তাদেরকে ডাই-স্যাকারাইড বলে।
প্রশ্ন-১৭। টটোমারিজম কাকে বলে?
উত্তরঃ কোনো যৌগের দুইটি সমাণু যদি পরস্পর গতিশীল সাম্যাবস্থায় থাকে, তবে একে টটোমারিজম বলে।
প্রশ্ন-১৮। বায়োপলিমার কাকে বলে?
উত্তরঃ জীবদেহে প্রাপ্ত পলিমার (গ্লুকোজ) কে বায়োপলিমার বলে।
প্রশ্ন-১৯। ফারমেন্টেশন কাকে বলে?
উত্তরঃ জটিল জৈব অণুকে প্রভাবকের সাহায্যে ক্ষুদ্র অণু বিশিষ্ট পদার্থে পরিণত করার প্রক্রিয়াকে ফারমেন্টেশন বলে।
প্রশ্ন-২২। কোয়াটারনারি লবণ কাকে বলে?
উত্তরঃ টারসিয়ারি অ্যামিনের নাইট্রোজেন পরমাণুর নিঃসঙ্গ ইলেকট্রন যুগলের মাধ্যমে আরও একটি অ্যালকাইল বা অ্যারাইল ক্যাটায়ন N পরমাণুর সাথে যুক্ত হলে যে যৌগ গঠিত হয়, তাকে কোয়াটারনারি লবণ বলে।
প্রশ্ন-২৩। শুষ্ক প্রাকৃতিক গ্যাস কি?
উত্তরঃ শুষ্ক প্রাকৃতিক গ্যাস প্রধানত মিথেন গ্যাস। যেসব গ্যাস ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক গ্যাস শুষ্ক অবস্থায় পাওয়া যায় বা যেসব কূপে অশোধিত পেট্রোলিয়াম তেল থাকে না সেগুলো থেকে পাওয়া গ্যাসই শুষ্ক প্রাকৃতিক গ্যাস।
প্রশ্ন-২৫। কার্বোসাইক্লিক যৌগসমূহকে হোমোসাইক্লিক যৌগ বলা হয় কেন?
উত্তরঃ বলয়কার যৌগের বলয়টি যদি শুধুমাত্র কার্বন পরমাণু দ্বারা গঠিত হয় তখন তাকে কার্বোসাইক্লিক বা হোমোসাইক্লিক যৌগ বলে। এখানে হোমো শব্দের অর্থ সম বা সমান প্রকৃতির যৌগ যা প্রত্যেক ক্ষেত্রে সমান হবে তাই কার্বসাইক্লিক যৌগসমূহকে হোমোসাইক্লিক যৌগ বলা হয়।