স্প্রেডশিট শব্দটি দুটি শব্দ Spread এবং Sheet এর সমন্বয়ে গঠিত। Spread অর্থ ছড়ানো এবং Sheet অর্থ পাতা। অর্থাৎ Spread Sheet অর্থ ছড়ানো পাতা। স্প্রেডশিট প্রোগ্রামে বিভিন্ন তথ্য সংরক্ষণ করা যায় এবং সহজ-সরল হিসাব-নিকাশের কাজ থেকে শুরু করে বেশ জটিল হিসাব-নিকাশের কাজ করা যায়। কতকগুলো প্রচলিত জনপ্রিয় স্প্রেডশিট প্রোগ্রাম হলো–
১ . মাইক্রোসফট এক্সেল (Microsoft Excel)
২ . লোটাস ১-২-৩ (Lotus 1-2-3)
৩ . কোয়াট্রো প্রো (Quatro Pro)
৪ . ভিসিক্যাল্ক (Visicalc)
৫ . সুপারক্যাল্ক (Supercalc)
৬ . মাল্টিপ্ল্যান (Multiplan) প্রভৃতি
একটি স্ট্যান্ডার্ড স্প্রেডশিট প্যাকেজের বৈশিষ্ট্য
স্ট্যান্ডার্ড ইলেকট্রনিক স্প্রেডশিটের গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য নিচে আলোচনা করা হলো–
১. ফর্মুলার ব্যবহার: কাগজের স্প্রেডশিটে কোন ইলেকট্রনিক ফর্মুলা ব্যবহার করা যায় না। কিন্তু ইলেকট্রনিক স্প্রেডশিটে স্বয়ংক্রিয় ফর্মুলা ব্যবহার করা যায়।
২. ওয়ার্কশিটের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক: একাধিক ওয়ার্কশিটের মধ্যে পারস্পারিক সম্পর্ক তৈরি করা যায় যার ফলে একটি ওয়ার্কশিটে ডেটা পরিবর্তন করলে ঐ ওয়ার্কশিটের সাথে সম্পর্কিত অন্যান্য ওয়ার্কশিটের ডেটা পরিবর্তন হয়।
৩. ফাংশনের ব্যবহার: বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সমাধানের জন্য পাঁচ শতকের অধিক ফাংশন রয়েছে। এছাড়া প্রয়োজনে ফাংশন তৈরি করে নেওয়া যায়।
৪. শর্তের ভিত্তিতে বিশ্লেষণ: স্প্রেডশিটে শর্তের ভিত্তিতে বিভিন্ন ডেটা বিশ্লেষণ করার সুযোগ আছে।
৫. ম্যাক্রোর ব্যবহার: পুনরাবৃত্তি কাজগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে ম্যাক্রোর সাহায্যে করা সম্ভব এবং প্রোগামিং ল্যাংগুয়েজের সাহায্যে বিশেষ কমান্ড যুক্ত করার জন্য ম্যাক্রো ব্যবহারের সুযোগ আছে।
৬. গ্রাফ ও চার্ট: এখানে বিভিন্ন ডেটাকে চার্ট এবং গ্রাফের মাধ্যমে তুলে ধরার সুযোগ আছে।
৭. চার্টের পরিবর্তন: চার্টের প্রিভিউ দেখে সাথে চার্ট পরিবর্তন করা যায়।
৮. সেল এর মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক: স্প্রেডশিটে একটি সেলের সাথে অন্য সেলের পারস্পরিক সম্পর্ক তৈরি করা যায়। এই ক্ষেত্রে একটি সেলের মান পরিবর্তন হলে ঐ সেলের সাথে সম্পর্কিত অন্যান্য সেলের মান পরিবর্তিত হয়।
৯. সেল এর সাইজ পরিবর্তন: এখানে সেল এর দৈর্ঘ্য বা প্রস্থ ইচ্ছামত পরিবর্তন করা যায়।
১০. ফন্টের ব্যবহার: ইচ্ছামতো যেকোনো ধরনের যে কোন সাইজের ফন্ট ব্যবহার করা যায়।
১১. ছবির ব্যবহার: এখানে ছবি ইচ্ছামত ব্যবহার করা যায়।