প্রশ্ন-১. সংকট কোণ কাকে বলে?
উত্তর : নির্দিষ্ট রঙের আলোক রশ্মি ঘন মাধ্যম থেকে হালকা মাধ্যমে প্রতিসরিত হওয়ার সময় আপতন কোণের যে মানের জন্য প্রতিসরণ কোণের মান এক সমকোণ (৯০°) হয় অর্থাৎ প্রতিসরিত রশ্মি বিভেদ তল ঘেঁষে চলে যায় তাকে ঐ রঙের জন্য হালকা মাধ্যমের সাপেক্ষে ঘন মাধ্যমের সংকট কোণ বলে। একে ক্রান্তি কোণও বলা হয়। সংকট কোণ বা ক্রান্তি কোণকে θc দ্বারা প্রকাশ করা হয়।
প্রশ্ন-২. আলোর প্রতিফলন কাকে বলে?
উত্তর : আলো যখন বায়ু বা অন্য কোনো স্বচ্ছ মাধ্যমের ভেতর দিয়ে যাওয়ার সময় অন্য কোনো মাধ্যমে বাধা পায় তখন দুই মাধ্যমের বিভেদতল থেকে কিছু পরিমাণ আলো প্রথম মাধ্যমে ফিরে আসে। একে আলোর প্রতিফলন বলে।
প্রশ্ন-৩. সমতল দর্পণ কাকে বলে?
উত্তর : যে দর্পণের প্রতিফলক পৃষ্ঠ সমতল, তাকে সমতল দর্পণ বলে।
প্রশ্ন-৪. সমতল দর্পণের বিম্বের বৈশিষ্ট্য কী কী?
উত্তর : সমতল দর্পণের বিম্বের বৈশিষ্ট্যগুলো হলো–
১. দর্পণ হতে বস্তু ও বিম্বের দূরত্ব সমান হয়।
২. বিম্ব ও বস্তুর দৈর্ঘ্য সমান হয়।
৩. বিম্ব অবাস্তব ও সোজা হয়।
প্রশ্ন-৫. মেরু কাকে বলে?
উত্তর : গোলীয় দর্পণের প্রতিফলক পৃষ্ঠের মধ্যবিন্দুকে মেরু বলে।
প্রশ্ন-৬. লেন্সের প্রধান ফোকাস কাকে বলে?
উত্তর : প্রধান অক্ষের সমান্তরাল আলোক রশ্মিসমূহ লেন্সে প্রতিসরণের পর প্রধান অক্ষের যে বিন্দুতে মিলিত হয় বা যে বিন্দু থেকে নির্গত হচ্ছে বলে মনে হয় সেই বিন্দুকে প্রধান ফোকাস বলে।
প্রশ্ন-৭. বাস্তব প্রতিবিম্ব কাকে বলে?
উত্তর : কোনো বিন্দু হতে নিঃসৃত আলোক রশ্মিগুচ্ছ কোনো তলে প্রতিফলিত বা প্রতিসরিত হবার পর যদি দ্বিতীয় কোনো বিন্দুতে প্রকৃত পক্ষে মিলিত হয় তাহলে ঐ দ্বিতীয় বিন্দুটিকে প্রথম বিন্দুর বাস্তব প্রতিবিম্ব বলে।
উত্তর : যে দর্পণের প্রতিফলক পৃষ্ঠ অবতল, তাকে অবতল দর্পণ বলে।
উত্তর : যখন কোনো আলোকরশ্মি ঘন মাধ্যম থেকে হালকা মাধ্যমের অভিমুখে গমনের ক্ষেত্রে দুই মাধ্যমের বিভেদতলে ক্রান্তি কোণের চেয়ে বেশি কোণে আপতিত হবে তখন পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন হবে।
উত্তর : কাচের পরম প্রতিসরণাঙ্ক 1.5 বলতে বোঝায় যে শূন্যমাধ্যমে বা বায়ু থেকে আলো কাচে তীর্যকভাবে প্রবেশ করলে আপতন কোণের সাইন প্রতিসরণ কোণের সাইনের অনুপাত 1.5।
উত্তর : আইরিশ হলো চোখের কর্নিয়ার ঠিক পিছনে অবস্থিত একটি অস্বচ্ছ পর্দা।
উত্তর : ১. পাহাড়ি রাস্তার বাঁকে 45° কোণে বসানো থাকে।
২. সাধারণ চেহারা দেখার আয়না হিসেবে।
উত্তর : গোলীয় দর্পণ যে গোলকের অংশ সেই গোলকের ব্যাসার্ধকে ঐ গোলীয় দর্পণের বক্রতার ব্যাসার্ধ বলে।