প্রশ্ন-৮। সুসংগত উৎস কাকে বলে?
উত্তর : যে সকল আলোর উৎস থেকে নির্গত আলোর মধ্যকার পারস্পরিক দশা পার্থক্য সব সময়ের জন্য সম্পূর্ণরূপে ধ্রুব থাকে সে সকল আলোর উৎসকে সুসংগত উৎস বলে।
প্রশ্ন-৯। পয়েন্টিং ভেক্টর কাকে বলে?
উত্তর : কোনো তাড়িতচৌম্বক তরঙ্গের গতিপথের সাথে লম্ব একক ক্ষেত্রফলের মধ্যে দিয়ে একক সময়ে যে পরিমাণ শক্তি অতিক্রম করে তাকে পয়েন্টিং ভেক্টর বলে।
প্রশ্ন-১০। আলোর দ্বৈত প্রতিসরণ কাকে বলে?
উত্তর : আলোক রশ্মি ক্যালসাইট স্ফটিকের মধ্য দিয়ে প্রতিসরণের সময় দুটি প্রতিসরিত রশ্মি পাওয়া যায়। এ ঘটনাকে আলোর দ্বৈত প্রতিসরণ বলে।
প্রশ্ন-১১। ন্যূনতম বিচ্যুতি কোণ কাকে বলে?
উত্তর : প্রিজমে আপতিত আলোকরশ্মির ক্ষেত্রে আপতন কোণ বৃদ্ধির সাথে বিচ্যুতি কোণের মান কমতে থাকে এবং একটি ন্যূনতম মানে আসার পর আপতন কোণ বৃদ্ধির সাথে বিচ্যুতি কোণের মান পুনরায় বাড়তে থাকে। ন্যূনতম এই কোণকে ন্যূনতম বিচ্যুতি কোণ বলে।
প্রশ্ন-১২। সাদা আলো কাচ প্রিজমে প্রবেশ করলে বর্ণালী সৃষ্টি হয় কেন?
উত্তর : সাদা আলো সাতটি বর্ণের আলোর সমষ্টি। শূন্য মাধ্যমে সবকটি আলোকরশ্মি একই বেগে চললেও কাচ প্রিজমে তাদের বেগ ভিন্ন ভিন্ন হয়। এজন্য তারা ভিন্ন ভিন্ন কোণে প্রতিসরিত হয়। ফলে সাদা আলো মৌলিক সাতটি বর্ণে বিশ্লিষ্ট হয়ে যায় এবং বর্ণালী উৎপন্ন করে।
প্রশ্ন-১৩। দুটি সদৃশ দীপ ব্যতিচার নকশা তৈরি করে না কেন?
উত্তর : দুটি সদৃশ দীপ হতে আগত তরঙ্গমালা, স্থায়ী ব্যতিচার নকশা তৈরি করতে সক্ষম নয়। কেননা শিখার উৎসকণাগুলো সবসময় পারস্পরিক সংঘর্ষে লিপ্ত থাকে। ফলে, ঐ কম্পন হতে সৃষ্ট তরঙ্গের দশারও অসংখ্যবার আকস্মিক পরিবর্তন হয়। একটি শিখার সকল প্রকার সম্ভাব্য দশাসম্পন্ন অসংখ্য বিন্দু থাকে এবং ঐ বিন্দুগুলো হতে নির্গত তরঙ্গসমূহ স্বাভাবিক কারণেই পারস্পরিক দশা সম্পর্ক বজায় রাখতে পারে না। এই তরঙ্গগুলোর দশাসম্পর্কের নিরন্তর পরিবর্তনের ফলে, চরম এবং অবম বিন্দুগুলোর অবস্থানের অতি দ্রুত পরিবর্তন ঘটে।