প্রস্বেদনের প্রকারভেদ
উদ্ভিদে তিন ধরনের প্রস্বেদন দেখা যায়। যথা- (ক) পত্ররন্ধ্রীয় প্রস্বেদন, (খ) ত্বকীয় প্রস্বেদন এবং (গ) লেন্টিকুলার প্রস্বেদন।
- পত্ররন্ধ্রীয় প্রস্বেদন : পত্ররন্ধ্রের মাধ্যমে যে প্রস্বেদন হয় তাকে পত্ররন্ধ্রীয় প্রস্বেদন বলে। পাতা এবং কচি কান্ডে অসংখ্য পত্ররন্ধ্র থাকে। পত্ররন্ধ্র প্রধানত পাতার নিচের পৃষ্ঠদেশে দেখা যায়। এছাড়া ফুলের বৃতি ও পাপড়িতে পত্ররন্ধ্র থাকে। পত্ররন্ধ্রের মধ্য দিয়েই প্রধানত বেশির ভাগ প্রস্বেদন ঘটে। পত্ররন্ধ্রীয় প্রস্বেদনের পরিমাণ মোট প্রস্বেদনের ৯০-৯৫%।
- ত্বকীয় বা কিউটিকুলার প্রস্বেদন : যে প্রস্বেদন কিউটিকলের মধ্য দিয়ে ঘটে তাকে কিউটিকুলার প্রস্বেদন বলে। উদ্ভিদের কান্ড এবং পাতার বহিঃত্বকের উপর কিউটিনের আবরণকে কিউটিকল বলে। উদ্ভিদকে শুষ্কতার হাত থেকে রক্ষা করা কিউটিকলের প্রধান কাজ। কিউটিকল পাতলা হলে উহা ভেদ করে কিছু পানি বাষ্পাকারে বের হয়ে আসে। এটাই কিউটিকুলার প্রস্বেদন।
- লেন্টিকুলার প্রস্বেদন : উদ্ভিদের সেকেন্ডারি বৃদ্ধির ফলে অনেক সময় কান্ডের বাইরের আবরণ (বহিঃত্বক অথবা কর্ক) কোন কোন জায়গায় ফেঁটে যায়। এতে কান্ডের ভেতরের কোষ বাইরের পরিবেশে উন্মুক্ত হয়। এ উন্মুক্ত জায়গাগুলোকে লেন্টিসেল বলে। লেন্টিসেলের মধ্য দিয়ে ভেতরের টিস্যু থেকে পানি বাষ্পাকারে বের হয়ে আসে। এটাই লেন্টিকুলার প্রস্বেদন।