মূত্রের উপাদানগুলো উল্লেখ করো।
উত্তরঃ রেচন ক্রিয়ার পর মূত্রথলি থেকে সামান্য হলুদ রংয়ের ঝাঁঝালো গন্ধযুক্ত, পানিসহ যে অপ্রয়োজনীয় নাইট্রোজেনঘটিত বর্জ্য পদার্থ মূত্রনালি পথে দেহ থেকে বের হয়ে যায় তাই মূত্র। মূত্রের উপাদানগুলোর মধ্যে প্রায় ৯০ ভাগই পানি। এছাড়া মূত্রের অন্যান্য উপাদানগুলোর মধ্যে রয়েছে ইউরিয়া, ইউরিক এসিড, ক্রিয়েটিনিন, বিভিন্ন ধরনের লবণ এবং ইউরোক্রোম নামক রঞ্জক পদার্থ।
মালপিজিয়ান অঙ্গ বলতে কী বোঝ?
উত্তরঃ নেফ্রনের সম্মুখ ভাগকে মালপিজিয়ান বডি বা মালপিজিয়ান অঙ্গ বলে। কর্টেক্স অঞ্চলে অবস্থিত এটি প্রায় ০.২ মিলিমিটার ব্যাসের একটি গোলাকার অংশ। বোম্যান্স ক্যাপসুল বা রেনাল ক্যাপসুল এবং গ্লোমেরুলাস সমন্বয়ে মালপিজিয়ান অঙ্গ গঠিত।
কিডনি সংযোজন বলতে কী বোঝায়?
উত্তরঃ কিডনি সংযোজন বলতে কিডনি প্রতিস্থাপন বোঝায়। যখন কোনো ব্যক্তির কিডনি অকেজো হয়ে পড়ে, তখন সুস্থ ব্যক্তির কিডনি অথবা মরণোত্তর কিডনি দানের মাধ্যমে প্রাপ্ত কিডনি রোগীর দেহে প্রতিস্থাপন করা যায়। একেই কিডনি সংযোজন বলে।
অসমোরেগুলেশন বলতে কী বোঝায়?
উত্তরঃ রেচন প্রক্রিয়ায় দেহ থেকে অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশিত হয়ে দেহে পানির সমতা রক্ষা হয়। দেহাভ্যন্তরে রক্ত থেকে অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশন করার মাধ্যমে দেহের পানির সমতা রক্ষা করার বিশেষ পদ্ধতিকে অসমোরেগুলেশন বা পানির সমতা নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি বলে।
মানবদেহে পানির ভারসাম্য রক্ষা হয় কীভাবে? ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ মানবদেহে পানির ভারসাম্য রক্ষা হয় বৃক্কের অসমোরেগুলেশনের মাধ্যমে। রেচন প্রক্রিয়ায় দেহ থেকে অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশিত হলেও নেফ্রনের মাধ্যমে পুনঃশোষণ প্রক্রিয়ায় দেহে পানির সমতা বজায় থাকে এক্ষেত্রে গ্লোমেরুলাসে পানি পরিস্রুত হয়।