প্রশ্ন-৫। দ্বিপদ নামকরণ বলতে কী বোঝায়?
উত্তরঃ নামকরণের আন্তর্জাতিক নিয়মানুসারে কোনো জীবের নামকরণে প্রথমে ‘গণ’ নাম এবং পরে ‘প্রজাতি’ নাম প্রয়োগ করে দুই শব্দের সমন্বয়ে যে নামকরণ করা হয় তাকে দ্বিপদ নামকরণ বলে। এক্ষেত্রে শব্দদ্বয় হবে ল্যাটিন বা রূপান্তরিত ল্যাটিন। যেমন : মানুষের বৈজ্ঞানিক নাম Homo sapiens. এক্ষেত্রে প্রথম শব্দটি গণ এবং দ্বিতীয় শব্দটি প্রজাতি নির্দেশ করে।
ভ্ৰূণীয়ভাবে দ্বিস্তরী প্রাণী বলতে কী বোঝায়?
যে সব প্রাণীর ভ্রূণের গ্যাস্ট্রুলা পর্যায়ে কোষগুলো এক্টোডার্ম ও এন্ডোডার্ম নামক দুটি স্তরে বিন্যস্ত থাকে, তাদের ভ্রূণীয়ভাবে দ্বিস্তরী প্রাণী বলে। স্তর দুটির মাঝে অকোষীয় মেসোগ্লিয়া থাকে। নিডারিয়া পর্বের প্রাণীরা ভ্ৰূণীয়ভাবে দ্বিস্তরী। যেমন- হাইড্রা।
প্রশ্ন-৬। ভ্রূণ স্তরের সংখ্যার ভিত্তিতে প্রাণিজগতের শ্রেণিবিন্যাস করো।
উত্তরঃ শ্রেণিবিন্যাসের শুরু থেকে অদ্যাবধি শ্রেণিবিন্যাসবিদগণ বিশেষ কতকগুলো বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে প্রাণিজগতের শ্রেণিকরণ করে আসছেন। তেমনিই একটি বৈশিষ্ট্য হলো ভ্রূণস্তর। আর এ স্তরের সংখ্যার ভিত্তিতে প্রাণিজগতকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যথা: i. দ্বিস্তরী প্রাণী এবং ii. ত্রিস্তরী প্রাণী।
প্রশ্ন-৭। রেচন অঙ্গের ভিত্তিতে Hirudo medicinalis এবং Culex pipiens ভিন্ন কেন?
উত্তরঃ রেচন অঙ্গের ভিত্তিতে Hirudo medicinalis এবং Culex pipiens ভিন্ন, কারণ Hirudo medicinalis বা জেঁকের প্রধান রেচন অঙ্গ নেফ্রিডিয়া। অপরদিকে Culex pipiens বা মশার প্রধান রেচন অঙ্গ মালপিজিয়ান নালিকা। তবে সবুজ গ্রন্থি ও সিলোম নালি দিয়েও এদের রেচন সম্পন্ন হয়।