প্রশ্ন-১। কোন যুগে মুদ্রার প্রচলন ঘটে?
উত্তরঃ মুসলিম যুগে মুদ্রার প্রচলন ঘটে।
প্রশ্ন-২। 'Periplus of the Erythraean Sea' কোন খ্রিষ্টাব্দের লেখা গ্রন্থ?
উত্তরঃ 'Periplus of the Erythraean Sea' ১ম খ্রিষ্টাব্দের লেখা গ্রন্থ।
প্রশ্ন-৩। ইবনে বতুতা কোন যুগে বাংলা ভ্রমণে আসেন?
উত্তরঃ ইবনে বতুতা মুসলমান যুগে বাংলা ভ্রমণে আসেন।
প্রশ্ন-৪। বাংলাদেশের আঞ্চলিক জলসীমা কত নটিক্যাল মাইল?
উত্তরঃ বাংলাদেশের আঞ্চলিক জলসীমা ১২ নটিক্যাল মাইল।
প্রশ্ন-৫। বাংলাদেশের মোট সীমানা কত কিলোমিটার?
উত্তরঃ বাংলাদেশের মোট সীমানা ৪৭১২ কিলোমিটার।
প্রশ্ন-৬। বাংলাদেশের আয়তন কত বর্গমাইল?
উত্তরঃ বাংলাদেশের আয়তন ৫৫,৫৯৮ বর্গমাইল।
প্রশ্ন-৮। প্রাচীন ও মধ্যযুগে কোন শিল্পে এদেশ অগ্রসর অঞ্চল হিসেবে বিশ্বখ্যাত ছিল?
উত্তরঃ প্রাচীন ও মধ্যযুগে বস্ত্র শিল্পে এদেশ অগ্রসর অঞ্চল হিসেবে বিশ্ব খ্যাত ছিল।
প্রশ্ন-৯। বিদেশি বণিকদের মধ্যে সর্বপ্রথম এ ভূখণ্ডে কারা আসে?
উত্তরঃ বিদেশি বণিকদের মধ্যে সর্বপ্রথম এ ভূখণ্ডে আসে পর্তুগিজরা।
প্রশ্ন-১০। ইংরেজরা চলে যাওয়ার পর কোন আমলে বাংলাদেশ আর্থ-সামাজিক রাজনৈতিক বৈষম্যের শিকার হয়?
উত্তরঃ ইংরেজরা চলে যাওয়ার পর পাকিস্তান আমলে বাংলাদেশ আর্থ-সামাজিক রাজনৈতিক বৈষম্যের শিকার হয়।
প্রশ্ন-১১। শীতকালে বাংলাদেশের তাপমাত্রার গড় কত থাকে?
উত্তরঃ শীতকালে গড় তাপমাত্রা ১১° সে. থেকে ২৮° সে. এর মধ্যে থাকে।
প্রশ্ন-১২। পরিবেশ কী?
উত্তরঃ মানুষের অস্তিত্ব, প্রকৃতি ও প্রবৃদ্ধিকে প্রভাবিত করে এমন সব উপাদানের দ্বারা সৃষ্ট পারিপার্শ্বিকতাকে তার পরিবেশ বলে।
প্রশ্ন-১৩। ক্রান্তীয় মৌসুমি জলবায়ু কী?
উত্তরঃ মৌসুমি জলবায়ু বাংলাদেশের জলবায়ুর ওপর এত অধিক প্রভাব ফেলে যে সামগ্রিকভাবে এর জলবায়ু ‘ক্রান্তীয় মৌসুমি জলবায়ু’ নামে পরিচিত।
প্রশ্ন-১৬। ‘ছিয়াত্তরের মন্বন্তর’ কেন হয়েছিল? ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ ‘ছিয়াত্তরের মন্বন্তর’ মূলত দুটি কারণে সংঘটিত হয়েছিল। প্রথম কারণটি হলো কৃষকদের ওপর দেশীয় জমিদার ও বিদেশি বণিকদের নির্যাতন ও শোষণ। দ্বিতীয় কারণটি হলো ওই সময়কালের অনাবৃষ্টি। এর ফলে খরা দেখা দিয়েছিল ও খাদ্যশস্য উৎপাদনও কম হয়েছিল। মূলত এ দুই কারণেই বাংলায় ১১৭৬ সালে ‘ছিয়াত্তরের মন্বন্তর’ নামক দুর্ভিক্ষ ঘটেছিল।
প্রশ্ন-১৭। টারশিয়ারি যুগের পাহাড়ি অঞ্চলের ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ টারশিয়ারি যুগে হিমালয় পর্বত গঠনের সময় যেসব পাহাড় সৃষ্টি হয়েছিল তাদেরকে টারশিয়ারি যুগের পাহাড় বলে।
এ যুগের পাহাড়ি অঞলকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যথা— ক. উত্তর ও উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের পাহাড়সমূহ ও খ. দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের পাহাড়সমূহ। বাংলাদেশের পাহাড়িয়া অঞ্চল বলতে টারশিয়ারি যুগে গঠিত অঞ্চলকে বোঝায়। এ অঞ্চল পার্বত্য চট্টগ্রাম, সিলেটের পূর্ব ও দক্ষিণাংশ, কুমিল্লার উত্তরাংশ এবং ময়মনসিংহের উত্তরাংশে অবস্থিত।
প্রশ্ন-১৮। বাংলাদেশে কেন প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়?
উত্তরঃ বাংলাদেশে গ্রীষ্মকালে বিশেষ করে জুন থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত সময়ে জলীয় বাষ্পভরা দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। শীতকালে এদেশে জলীয় বাষ্পহীন শুষ্ক উত্তর-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে কদাচিৎ বৃষ্টিপাত হয়। বৃষ্টিপাতের অনিশ্চয়তা এবং বেশি বা কম বৃষ্টিপাত এদেশে মৌসুমি জলবায়ুর একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য।
প্রশ্ন-১৯। আদি প্রাচীন ও হিন্দু যুগের অর্থনীতি সম্পর্কে লেখো।
উত্তরঃ আদি প্রাচীন ও হিন্দু যুগে আর্যরা উন্নত সভ্যতা গড়ে তোলে। আর্যরা বিভিন্ন ধরনের শিল্পকর্মে পারদর্শী ছিল। বৌদ্ধ ও হিন্দু রাজাদের পৃষ্ঠপোষকতায় এ অঞ্চলে বিভিন্ন ধরনের কুটিরশিল্পের বিকাশ ঘটেছিল। তন্মধ্যে পাথর ও কাঠ খোদাই শিল্প, ধাতুশিল্প, সুতি বস্ত্রশিল্প, চিনি শিল্প ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এ যুগে দ্রব্য বিনিময় প্রথা প্রচলিত ছিল। গ্রিক, পারস্য, আরব প্রভৃতি দেশে বিভিন্ন দ্রব্য রপ্তানি হতো। এ সময়ে কৃষিও বেশ উন্নত ছিল।
প্রশ্ন-২০। প্লাইস্টোসিনকালের সোপানসমূহ বলতে কী বোঝ?
উত্তরঃ আনুমানিক ২৫,০০০ বছর পূর্বে আন্তঃবরফগলা পানিতে সৃষ্ট প্লাবনের ফলে যেসব সোপানসমূহ গঠিত তাই প্লাইস্টোসিনকালের সোপান নামে পরিচিত।
এদেশের মোট ভূমির ৮% এলাকা নিয়ে এ অঞ্চল গঠিত। এ সোপানসমূহকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়। যথা– বরেন্দ্রভূমি, মধুপুর ও ভাওয়ালের গড় এবং লালমাই পাহাড়। এসব অঞ্চলের মাটির রং লাল ও ধূসর।
প্রশ্ন-২১। প্রাচীন বাংলার মুদ্রার সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা দাও।
উত্তরঃ প্রাচীন বাংলায় মুদ্রার ব্যবহার দেখা যায় খ্রিষ্টের জন্মের আগে থেকেই।
খ্রিষ্টপূর্ব তৃতীয় থেকে দ্বিতীয় শতকের মধ্যে বাংলাদেশে ‘গণ্ডক’ নামে এক প্রকার মুদ্রার প্রচলন ছিল। বাংলাদেশে কুষাণ আমলের দু-চারটি স্বর্ণমুদ্রা পাওয়া যায়। গুপ্ত আমলে বাংলায় সোনার মুদ্রার সাথে সাথে রুপার মুদ্রাও প্রচলিত ছিল। পঞ্চম থেকে সপ্তম শতক পর্যন্ত দিনার ছিল স্বর্ণমুদ্রা ও রূপক ছিল রৌপ্যমুদ্রা। তাছাড়া তামার মুদ্রাও প্রচলিত ছিল। অষ্টম শতকের মাঝামাঝি পাল রাজত্ব প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর নতুন করে রুপার মুদ্রার প্রচলন দেখা যায়। সেন আমলে মুদ্রা হিসেবে কড়ি ছিল সর্বেসর্বা।
প্রশ্ন-২২। বাংলাদেশের অর্থনীতির কাঠামোকে তুমি কয়ভাগে ভাগ করতে পারো?
উত্তরঃ বাংলাদেশের অর্থনীতির কাঠামোকে উৎপাদন, মালিকানা ও অঞ্চলের ভিত্তিতে ভাগ করা যায়।
উৎপাদনের ভিত্তিতে বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রধান খাতগুলো হলো কৃষি, শিল্প ও সেবা। মালিকানার ভিত্তিতে এ দেশের অর্থনীতিকে সরকারি ও বেসরকারি এ দু’ভাগে ভাগ করা যায়। আর অঞ্চলভিত্তিক দৃষ্টিকোণ থেকে এ দেশের অর্থনীতি গ্রামীণ ও শহুরে বলে দুটি খাতে বিভক্ত।
প্রশ্ন-২৩। স্বাধীনতা লাভের সময় বাংলাদেশের অর্থনীতি কীরূপ ছিল?
উত্তরঃ স্বাধীনতা লাভের সময় বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা খুব খারাপ ছিল। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের ফলে এদেশ পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশে পরিণত হয়। শুরু থেকেই এদেশের জনমানুষের ওপর পাকিস্তানি শাসকবর্গের যে সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক অবিচার ও নিপীড়ন শুরু হয়, তার ফলে পাকিস্তানের দুই অংশের মধ্যে অর্থনৈতিক বৈষম্য ক্রমাগত বৃদ্ধি পায়। এর ফলে স্বাধীনতা লাভের আগ মুহূর্ত পর্যন্ত পূর্ব পাকিস্তানের সাথে পশ্চিম পাকিস্তানের মাথাপিছু আয়ে, জাতীয় আয়ে, কৃষি উন্নয়নে, বিনিয়োগে, বৈদেশিক ঋণে, শিক্ষায়, চাকরিতে অনেক বৈষম্য দেখা যায়। যার কারণেই মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল। তাই বলা যায়, স্বাধীনতা লাভের সময় বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো ছিল না।
প্রশ্ন-২৪। পাকিস্তান যুগে বাংলার অর্থনীতি কেমন ছিল?
১৯৪৭ সালে ভারত ও পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্ম হয়। বিশ্বাস ছিল পাকিস্তান রাষ্ট্রে পূর্ব পাকিস্তান ও পশ্চিম পাকিস্তানের সুসম্পর্ক ও পারস্পরিক সৌহার্দ্য থেকে দুটি অঞ্চলের দ্রুত উন্নয়ন ঘটবে। কিন্তু ঘটল বিপরীত ঘটনা। দুটি অঞ্চলের মধ্যে অর্থনৈতিক বৈষম্য বাড়তেই থাকে। বাণিজ্যে উদ্বৃত্ত পূর্ব পাকিস্তান ক্রমান্বয়ে বাণিজ্য ঘাটতির মুখোমুখি হলো। মাথাপিছু আয়, প্রবৃদ্ধি, ভোগ, ঋণদান, বিনিয়োগ, শিল্প-কারখানা স্থাপন, চাকরি ইত্যাদি ক্ষেত্রে পাকিস্তানি শাসকচক্রের ষড়যন্ত্রে বৈষম্য দিন দিন বাড়তে থাকে।