নবম-দশম শ্রেণির জীববিজ্ঞান চতুর্থ অধ্যায় প্রশ্ন ও উত্তর

Shimul Hossain
0


প্রশ্ন-১৪। সালোকবিভাজন কাকে বলে?
উত্তরঃ সূর্যালোক ও ক্লোরোফিলের সহায়তায় পানি বিয়োজিত হয়ে অক্সিজেন, হাইড্রোজেন ও ইলেকট্রন উৎপন্ন হওয়ার প্রক্রিয়াকে সালোকবিভাজন বলে।

প্রশ্ন-১৫। C4 উদ্ভিদ বলতে কী বোঝ?
উত্তরঃ যে সকল উদ্ভিদে একই সাথে হ্যাচ ও স্ল্যাক চক্র এবং ক্যালভিন চক্র পরিচালিত হয় তাদের C4 উদ্ভিদ বলা হয়। এসব উদ্ভিদ উচ্চ তাপমাত্রায় খাপ খাইয়ে নিতে সক্ষম। C3 উদ্ভিদের তুলনায় C4 উদ্ভিদে সালোকসংশ্লেষণ হার বেশি এবং উৎপাদন ক্ষমতাও বেশি। সাধারণত ভুট্টা, আখ, ঘাসজাতীয় উদ্ভিদ ইত্যাদিতে C4 চক্র পরিচালিত হয়। তাই এরা C4 উদ্ভিদ নামে পরিচিত।

প্রশ্ন-১৬। উদ্ভিদদেহে সংঘটিত পানির ফটোলাইসিস বলতে কী বোঝায়?
উত্তরঃ উদ্ভিদদেহে সালোকসংশ্লেষণ সংঘটনের সময় পানির ফটোলাইসিস ঘটে। এক্ষেত্রে সূর্যালোক ও ক্লোরোফিলের সহায়তায় পানি বিয়োজিত হয়ে অক্সিজেন, হাইড্রোজেন ও ইলেকট্রন উৎপন্ন হয়। এ প্রক্রিয়াকেই পানির ফটোলাইসিস বলে।

প্রশ্ন-১৭। অবাত শ্বসন প্রক্রিয়ায় কম শক্তি উৎপন্ন হয় কেন?
উত্তরঃ অবাত শ্বসন দুটি ধাপে সম্পন্ন হয়। প্রথম ধাপে এক অণু গ্লুকোজ থেকে দুই অণু পাইরুভিক এসিড, চার অণু ATP এবং দুই অণু NADH+H+ উৎপন্ন হয়। এর মধ্যে দুই অণু ATP খরচ হয়ে যায়। অন্যদিকে অবাত শ্বসনে ৩৮টি ATP উৎপন্ন হয়। অবাত শ্বসনের দ্বিতীয় ধাপে সাইটোপ্লাজমে অবস্থিত এনজাইমের কার্যকারিতায় পাইরুভিক এসিড অসম্পূর্ণরূপে জারিত হয়ে CO2 এবং ইথাইল অ্যালকোহল অথবা শুধু ল্যাকটিক এসিড উৎপন্ন হয়। এসব কারণে অবাত শ্বসন প্রক্রিয়ায় কম শক্তি উৎপন্ন হয়।

প্রশ্ন-১৮। CO2 কীভাবে পাতার অভ্যন্তরে পৌছায়?
উত্তরঃ পাতার অভ্যন্তরে প্রবেশের ক্ষেত্রে CO2 প্রথমে পত্ররন্ধ্রের ভেতর দিয়ে পত্ররন্ধের পেছনের বায়ুকুঠুরিতে পৌঁছায়। বায়ুকুঠুরি হতে CO2 ব্যাপন প্রক্রিয়ায় মেসোফিল টিস্যুর ক্লোরোপ্লাস্টে প্রবেশ করে। এভাবে বায়ুমণ্ডল থেকে CO2 পাতার অভ্যন্তরে প্রবেশ করে।

প্রশ্ন-১৯। বটগাছের নিচে রাতে কোনো ব্যক্তি অবস্থান করলে শ্বাস-প্রশ্বাসে কষ্ট হয় কেন?
উত্তরঃ রাত্রিবেলা সালোকসংশ্লেষণ বন্ধ থাকে বলে অক্সিজেন উৎপন্ন হয়। অন্যদিকে শ্বসন দিবারাত্রি ২৪ ঘণ্টাই চলতে থাকে, যাতে কার্বন ডাইঅক্সাইড নির্গত হয়। বটগাছের পাতা ও লেন্টিসেলের সংখ্যা বেশি থাকে। ফলে শ্বসনে নির্গত কার্বন ডাইঅক্সাইডও বেশি নির্গত হয়, যা শ্বাসরোধের কারণ হতে পারে। এজন্যই রাতে বটগাছের নিচে কোনো ব্যক্তি অবস্থান করলে শ্বাস-প্রশ্বাসে কষ্ট হয়।

Post a Comment

0Comments
Post a Comment (0)