একাদশ অধ্যায় : চল বিদ্যুৎ, পদার্থবিজ্ঞান (নবম ও দশম শ্রেণি)

Shimul Hossain
0

প্রশ্ন-১. তড়িৎ প্রবাহের একক কি?
উত্তর : তড়িৎ প্রবাহের একক অ্যাম্পিয়ার।

প্রশ্ন-২. আপেক্ষিক রোধের বিপরীত রাশিকে কী বলে?
উত্তর : আপেক্ষিক রোধের বিপরীত রাশিকে পরিবাহকত্ব বলে।

প্রশ্ন-৩. কী কী কারণে তড়িৎশক্তি ব্যবহার বিপদজনক হতে পারে?
উত্তর : তড়িৎ শক্তির ব্যবহার নিম্নবর্ণিত তিনটি কারণে বিপজ্জনক হতে পারে। ১. অন্তরকের ক্ষতি সাধন; ২. ক্যঅবলের অতি উত্তপ্ত হওয়া; ৩. আর্দ্র অবস্থা।

প্রশ্ন-৪. রোধ কাকে বলে?
উত্তর : মুক্ত ইলেকট্রন কোনো পরিবাহীর মধ্য দিয়ে চলার সময় এর অভ্যন্তরের অণু পরমাণুর সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। ফলে এদের গতি বাধাপ্রাপ্ত হয় এবং তড়িৎ প্রবাহ বিঘ্নিত হয়। পরিবাহীর এই ধর্মকে রোধ বলে।

প্রশ্ন-৫. তড়িৎ ক্ষমতা কাকে বলে?
উত্তর : একটি বৈদ্যুতিক যন্ত্রের শক্তি রূপান্তরের হারকে ঐ যন্ত্রের তড়িৎ ক্ষমতা বলে।

প্রশ্ন-৬. ওহমের সূত্রটি বিবৃত কর।
উত্তর : ওহমের সূত্রটি হলো: “তাপমাত্রা স্থির থাকলে কোনো পরিবাহীর মধ্য দিয়ে যে তড়িৎ প্রবাহ চলে তা ঐ পরিবাহীর দুই প্রান্তের বিভব পার্থক্যের সমানুপাতিক।

প্রশ্ন-৭. অপরিবাহী পদার্থ কাকে বলে?
উত্তর : যে সকল পদার্থের মধ্য দিয়ে তড়িৎ প্রবাহ চলতে পারে না তাদের অপরিবাহী পদার্থ বলে।

প্রশ্ন-৮. স্থির মানের রোধক কী?
উত্তর : যে সকল রোধকের রোধের মান নির্দিষ্ট তাদেরকে স্থির মানের রোধক বলে।

প্রশ্ন-৯. তুল্যরোধ কী?
উত্তর : রোধের কোনো সমবায়ের রোধগুলোর পরিবর্তে যে একটিমাত্রা রোধ ব্যবহার করলে বর্তনীর প্রবাহ ও বিভব পার্থক্যের কোনো পরিবর্তন হয় না তাকে ঐ সমবায়ের তুল্যরোধ বলে।

প্রশ্ন-১০. পরিবাহকত্ব বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : আপেক্ষিক রোধের বিপরীত রাশিকে পরিবাহকত্ব বলে। পরিবাহকত্বকে σ অক্ষর দ্বারা প্রকাশ করা হয়। এর মান পরিবাহীর উপাদান ও তাপমাত্রার ওপর নির্ভরশীল।

প্রশ্ন-১১. সমান্তরাল সংযোগ কাকে বলে?
উত্তর : যে বর্তনীতে তড়িৎ উপকরণগুলো এমনভাবে সাজানো থাকে যে প্রত্যেকটির এক প্রান্তগুলো একটি সাধারণ বিন্দুতে এবং অপর প্রান্তগুলো অন্য একটি সাধারণ বিন্দুতে সংযুক্ত থাকে তাকে সমান্তরাল সংযোগ বলে।

প্রশ্ন-১২. তড়িচ্চালক শক্তি কাকে বলে?
উত্তর : এক কুলম্ব আধানকে কোষ সমেত কোনো বর্তনীর এক বিন্দু থেকে সম্পূর্ণ ঘুরিয়ে আবার ঐ বিন্দুতে আনতে যে কাজ সম্পন্ন হয় অর্থাৎ তড়িৎ কোষ যে তড়িৎ শক্তি সরবরাহ করে, তাকে ঐ কোষের তড়িচ্চালক শক্তি বলে।

প্রশ্ন-১৩. রোধের সমান্তরাল সন্নিবেশ কাকে বলে?
উত্তর : কতগুলো রোধ যদি এমনভাবে সাজানো থাকে যে এদের এক প্রান্ত একটি সাধারণ বিন্দুতে এবং অপর প্রান্তগুলো অন্য একটি সাধারণ বিন্দুতে সংযুক্ত থাকে এবং প্রত্যেকটি রোধের দুই প্রান্তে একই বিভবান্তর বজায় থাকে তাহলে সেই সন্নিবেশকে রোধের সমান্তরাল সন্নিবেশ বলে।

প্রশ্ন-১৪. পরিবাহীতে বিদ্যুৎপ্রবাহের সময় কিভাবে রোধের উদ্ভব ঘটে?
উত্তর : তড়িৎপ্রবাহ হলো ইলেকট্রনের প্রবাহ। ইলেকট্রন কোনো পরিবাহীর মধ্য দিয়ে চলার সময় এর অভ্যন্তরের অনু-পরমাণুর সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। ফলে এদের গতি বাধাগ্রস্ত হয় এবং তড়িৎ প্রবাহ বিস্মিত হয়। এভাবে পরিবাহীর অভ্যন্তরে রোধের সৃষ্টি হয়।

প্রশ্ন-১৫. পরিবাহির দৈর্ঘ্য ও প্রস্থচ্ছেদের ক্ষেত্রফলের পরিবর্তন হলে কেন রোধের পরিবর্তন ঘটে?
উত্তর : পরিবাহীর যে ধর্মের জন্য এর মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহ বিঘ্নিত হয় তাকে ঐ পরিবাহীর রোধ বলে। প্রকৃতপক্ষে পরিবাহীর দুপ্রান্তে বিভবপার্থক্য প্রয়োগ করার ফলে এর মধ্যকার মুক্ত ইলেকট্রনসমূহ যখন ঝাঁকে ঝাঁকে এক প্রান্ত হতে অপর প্রান্তে যায়, তখনই তড়িৎপ্রবাহের উদ্ভব হয়। পরিবাহীর দৈর্ঘ্য বেশি হলে মুক্ত ইলেকট্রনসমূহ এক প্রান্ত হতে অপর প্রান্তে যেতে বেশি বাধার সম্মুখীন হয়। অপরপক্ষে প্রস্থচ্ছেদ ক্ষেত্রফল বেশি হলে ইলেকট্রনসমূহের যাতায়াত সহজতর হয়। তাই পরিবাহকের দৈর্ঘ্য ও প্রস্থচ্ছেদের ক্ষেত্রফল পরিবর্তন করলে এর রোধ পরিবর্তিত হয়।

প্রশ্ন-১৬. স্থির তড়িৎ হতে চল তড়িৎ কিভাবে সৃষ্টি হয় ব্যাখ্যা করো।
উত্তর : কোনো বস্তুতে মোট ধনাত্মক আধান এবং মোট ঋণাত্মক আধান সমান না হলে বস্তুটি তড়িৎ হয়েছে বলে ধরা হয়। এক্ষেত্রে তড়িৎ চলাচলের কোনোরূপ সুযোগ না থাকলে, অর্থাৎ অন্তরক পদার্থের সংস্পর্শে থাকলে উক্ত তড়িৎ স্থির থাকে। কিন্তু যখনই এই তড়িৎ কোনো পরিবাহীর সংস্পর্শে আসে তখনই তা প্রবাহিত হয়ে বল তড়িত সৃষ্টি করে।

প্রশ্ন-১৭. সমান্তরাল সমবায়ে তুল্যরোধের মান প্রতিটি রোধের মানের চেয়ে কম হয় কেন?
উত্তর : একটি রোধের বদলে রোধের একটি সমান্তরাল সমবায়ের মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হতে দিয়ে আধান বা ইলেকট্রন একাধিক বিকল্প পথে প্রবাহের সুযোগ পায়। এক্ষেত্রে যে পথে কম রোধ রয়েছে সেখান দিয়ে বেশি মানের তড়িৎ প্রবাহিত হয়। প্রকৃতপক্ষে কতগুলো রোধ সমান্তরাল সমবায়ে সংযুক্ত করা কোনো একটি রোধের প্রস্থচ্ছেদের ক্ষেত্রফল বৃদ্ধির সমতুল্য। বিদ্যুৎ প্রবাহের একাধিক পথ থাকায় সমান্তরাল সমবায়ের তুল্যরোধের মান প্রতিটি রোধের মানের চেয়ে কম হয়।

Post a Comment

0Comments
Post a Comment (0)